চলতি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা প্রথমপত্রের একটি প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক চলছে। সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক প্রশ্নপত্র তৈরি করা কলেজ শিক্ষক প্রশান্ত কুমার পাল গা ঢাকাও দিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যে আরেকটি বিতর্কিত সৃজনশীল প্রশ্ন এবার আলোচনায়এলো।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার একটি প্রশ্নে লেখক ও সাংবাদিক আনিসুল হককে হেয় করা হয়েছে।
বাংলা ২-এর পরীক্ষাটি হয়েছে গত ৬ নভেম্বর। তবে প্রশ্নপত্রটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বৃহস্পতিবার ফাঁস হলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
ওই সৃজনশীল প্রশ্নের উদ্দীপকে লেখক আনিসুল হকের নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘বইমেলায় তাড়াহুড়ো করে বই প্রকাশ করেন তিনি। পাঠকদের কাছে তার লেখা খাপছাড়া মনে হয়। ফলে পাঠকদের কাছে তিনি সমাদৃত হন না। ’
সেই অনুচ্ছেদের নিচে ৫টি প্রশ্ন করা হয়েছে— (ক) ‘যশ’ শব্দের অর্থ কী? (খ) ‘লেখা ভালো হইলে সুনাম আপনি আসিবে। ’ উক্তিটি ব্যাখ্যা কর। (গ) আনিসুল হক কোন কারণে ব্যর্থ, তা ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার আলোকে ব্যাখ্যা কর। (ঘ) সাহিত্যের উন্নতিকল্পে ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনায় লেখকের পরামর্শ বিশ্লেষণ কর। ’
প্রশ্নপত্রে এমন প্রশ্ন দেখে হতবিহ্বল অভিভাবকসহ দেশের সচেতন নাগরিকরা। একজন লেখককে এভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ! তাও কিনা শেখানো হচ্ছে শিক্ষার্থীদের!
সৃজনশীল প্রশ্নের মাধ্যমে হিংসা-বিদ্বেষ, ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেনে! এ ধরনের প্রশ্ন সংশ্লিষ্টদের এড়িয়ে ছাপা হয় কী করে?
প্রশ্নপত্রটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে এমন উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে অভিভাবকদের মাঝে।
উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আর সমালোচনার মধ্যে প্রশ্নটির বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খান।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, প্রশ্ন পড়ে আমি কষ্ট পেয়েছি। একজন শিক্ষক কীভাবে এমন প্রশ্ন করতে পারেন, তা বোধগম্য নয়। এ প্রশ্নপত্র তৈরিতে যুক্ত শিক্ষককে খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।